টাঙ্গন, কুলিক ও নাগর নদী বিধৌত এ জনপদের নদীসমূহ সাধারণত উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহমান। সারা বছর না হলেও বর্ষাকালে নদীগুলো যৌবন ফিরে পায়। প্রবল বন্যা সচরাচর দেখা যায় না। তবে অঞ্চল বিশেষে অতি বর্ষায় বন্যা হয়ে থাকে। পীরগঞ্জ, হরিপুর ও সদর উপজেলায় নিম্ন জলাশয় রয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে এগুলো সম্পূর্ণ শুকনো থাকে। পলি জমে নদীর গতিপথসমূহ ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এ এলাকায় নদ নদী ছাড়াও অনেকগুলো খাল বিল রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে খাল বিলে যথেষ্ট পানি থাকে। তবে শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ খালই শুকিয়ে যায়। শুধু মাত্র বড় বিলগুলোর কিছু অংশ জুড়ে পানি থাকে।
টাঙ্গন নদীঃ টাঙ্গন নদী ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার নিম্ন জলভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ দিকে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর নদীটি ভারতের বালুরঘাটে প্রবেশ করে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে চাঁপাই নবাবগঞ্জের পূনর্ভরা নদীতে মিলিত হয়েছে। অবশেষে রোহনপুরের নিকট মহানন্দা নদীতে এই মিলিত স্রোতধারা মিশে গেছে। ঠাকুরগাঁও সদর এই নদীর বাম তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। টাঙ্গন ও অন্যান্য বড় নদী হতে শুক, সেনুয়া, মরা পাথরাজ ও ছারালবন নামে শাখা নদী ও উপনদীর উৎপত্তি হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস