বাংলাদেশেরসর্বউত্তরে (পঞ্চগড় জেলার পরেই) একটি ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁও। দিনাজপুরজেলার (বৃহত্তর) অন্তর্গত ঠাকুরগাঁও মহকুমা ১৯৮৪ সালে জেলা হিসাবেপ্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার অধিবাসী অধিকাংশই মুসলমান। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকহিন্দু অধিবাসী রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কিছু দেশীয় খ্রিষ্টান এবং আদিবাসী।বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহের মধ্যে ঠাকুরগাঁও অঞ্চল অন্যতম।প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে প্রাগৈতিহাসিক কালে বাংলাদেশ নামের এই বদ্বীপটিসমুদ্রের তলভূমি ছিল, কালক্রমে তা জেগে উঠে এবং ধীরে ধীরে সভ্যতার বিকাশঘটে। সমুদ্রের তল থেকে সবার আগে জেগে উঠে হিমালয় পর্বত এবং তার পাদদেশঅর্থাৎ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও তথা দিনাজপুর অঞ্চল।ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, নেপালের রাজ দরবার থেকেসংগৃহীত বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নির্দশন ‘চর্যাপদ’ এর ভাষার সাথে এ অঞ্চলেরভাষার যথেষ্ট মিল আছে এবং চর্যাপদ যে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে রচিত হয়েছে তারসমর্থন মেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন ঠাকুরগাঁও সম্প্রচার কেন্দ্রের উদ্বোধনঅনুষ্ঠানে প্রদত্ত তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেছেন:‘‘আমাদের মাতৃভাষার সাহিত্যরূপের প্রথম প্রকাশও ঘটে ঠাকুরগাঁও এবং এরসন্নিহিত অঞ্চলে। এই ভূমিতেই রচিত হয়েছিল চর্যাপদের কয়েকটি পদ।’’ এমনকি বড়ুচন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ যা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থহিসাবে স্বীকৃত, তাতেও দেখা যায় গ্রন্থে ব্যবহৃত অনেক শব্দ এই অঞ্চলেরমানুষের মুখের ভাষা। যেমন- বুঢ়া, ঘষি, বেশোয়ার ইত্যাদি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস